এই সময়2025-06-202025-06-202025-06-20http://ssm.ndl.gov.in/handle/123456789/1198এই সময়, শ্যামপুর: শ্যামপুর সিদ্ধেশ্বরী মহাবিদ্যালয় ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যন্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল বা ন্যাকের মূল্যায়নের বিচারে এ গ্রেড পেল। হাওড়া জেলার সরকার পোষিত কলেজগুলির মধ্যে গ্রামীণ এলাকার এই কলেজ এমন বিরল স্বীকৃতি পেল। সূত্রের খবর, ন্যাকের পক্ষ থেকে কলেজগুলোর বিভিন্ন বিষয়ের কাজকর্ম খতিয়ে দেখার উদ্দেশ্যে গত এক বছর ধরে অনলাইন ও অফলাইন 'পরীক্ষা' হয়। সেই পরীক্ষার বিচারে এই মহাবিদ্যালয় এই সম্মান পেয়েছে। এর আগে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০১০ সালে ন্যাকের বিচারে বি গ্রেড পেয়েছিল। কিন্তু বি থেকে এ তে উত্তরণ রীতিমতো সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে একটা গ্রামীণ কলেজের নিরিখে। শ্যামপুর থানার অনন্তপুরের বাসিন্দা বিশিষ্ট শিল্পপতি ও প্রয়াত বিধায়ক মুরারীমোহন মান্না বেলপুকুর এলাকায় শ্যামপুর সিদ্ধেশ্বরী মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই সময়ে স্বল্প সংখ্যক পড়ুয়াকে নিয়ে শুরু হওয়া এই প্রতিষ্ঠান আজ মহীরুহে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে ছাত্রীর সংখ্য প্রায় পঁচাশি শতাংশ। বর্তমানে ওই কলেজে মোট ১৪টি বিষয়ে স্নাতক-সহ ২১টি বিষয় আছে। কলেজের অধ্যক্ষ সব্যসাচী সেন বলেন, 'আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্লিপ মেথড, হাতেকলমে পড়াশোনার জন্য আধুনিক প্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার জন্য কলেজের নিজস্ব জায়গায় ফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, খোখো, জিমনাসিয়ামের পৃথক ব্যবস্থাও আছে। এর পাশাপাশি কলেজের নিজস্ব পুকুর ও বাগানকে পড়ুয়াদের হাতেকলমে শিক্ষার কাজে ব্যবহার করা হয়। একটি প্রজাপতি উদ্যানও করা হয়েছে। এ ছাড়া ছাত্রছাত্রীদের অভাব-অভিযোগ শোনার জন্য কমপ্লেইন বক্সও রয়েছে।' ন্যাকের পক্ষ থেকে এই স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য তিনি তাঁর সহকর্মী অধ্যাপক, অধ্যাপিকা এবং শিক্ষক কর্মচারী এবং পরিচালন কমিটির সদস্যদের সক্রিয় সহযোগিতার কথা স্বীকার করেন। এই বিষয়ে ওই কলেজের পরিচালনা সমিতির সদস্য ও ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক, শ্যামপুর দু'নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি নদেবাসী জানা বলেন, 'আগে এই এলাকার পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার জন্য অনেক দূর যেতে হতো। তাদের কথা চিন্তা করে ১৯৬৪ সালে বিশিষ্ট সমাজসেবী, প্রাক্তন বিধায়ক মুরারী মান্না মাত্র ২৫০ জন পড়ুয়াকে নিয়ে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সূচনা করেছিলেন। মুরারী মান্নার দূরদৃষ্টির জলজ্যান্ত প্রমাণ আজকের এই কলেজ।'ওই কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি, শ্যামপুরের বিধায়ক কালীপদ মণ্ডল বলেন, 'সবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় এই মহাবিদ্যালয় যে স্বীকৃতি পেয়েছে, তাতে আমরা গর্বিত।'otherন্যাকের বিচারে এ গ্রেড পেল শ্যামপুর সিদ্ধেশ্বরী কলেজOther